মৌর্য সাম্রাজ্য ও গুপ্ত সাম্রাজ্য। প্রাচীন বাংলার ইতিহাস 1st Part। Best Note for Job Preparation
আলোচ্য বিষয় সমূহ- প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণ, মৌর্য সাম্রাজ্য, শুঙ্গ রাজবংশ, কাণ্ব রাজবংশ ও সাতবাহন রাজবংশ, কুষাণ সাম্রাজ্য, গুপ্ত সাম্রাজ্য, গুপ্ত-পরবর্তী বাংলার ধারাবাহিক বর্ণনা এবং এখান থেকে বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা প্রশ্নসমূহের আলোচনা।
প্রাচীন বাংলার ধারাবহিক ইতিহাস রচনা করার তেমন কোনো উপাদান গুপ্ত যুগের পূর্বে পাওয়া যায়নি। বস্তুত ৩২৭-২৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময় থেকে প্রকৃত ইতিহাস পাওয়া যায়।
আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণ
আলেকজান্ডার ছিলেন প্রাচীন গ্রীক রাজ্য ম্যাসিডনের তরুণ রাজা। আলেকজান্ডারের পিতা ছিলেন রাজা ফিলিপস। পারস্য বিজয়ে পর রাজা আলেকজান্ডারের ভারত বিজয়ের উদ্দেশ্যে ৩৩১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আরিয়া হিরাট দখল করে বর্তমান আফগানিস্তানে পদার্পন করেন। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৮ অব্দের মধ্যে সমগ্র পারস্য এবং আফগানিস্তান আলেকজান্ডারের দখলে এলে, তিনি আরও পূর্বে অবস্থিত জনপদ ও ছোট ছোট রাজ্যগুলির দিকে নজর দেন। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৬ অব্দে আলেকজান্ডার সিন্ধু নদ নৌকাসেতু যোগে পার হয়ে ভারত ভূখণ্ডে পদার্পণ করেন। ঝিলাম নদী ও সিন্ধু নদের অন্তবর্তী সকল রাজ্য তার বশ্যতা মেনে নিলেও ঝিলাম রাজ পুরু আলেকজান্ডারকে প্রবলভাবে বাধা দিয়েও পরাজিত হন। পুরুর বীরত্বে আলেকজান্ডার মুগ্ধ হয়ে পুরুর নিজস্ব রাজ্য সহ আশেপাশের আরও কয়েকটি রাজ্য পুরুকে অর্পন করেন। গ্রীক লেখকদের বর্ননামতে তখন বাংলায় গঙ্গা নদীর যে দুটি স্রোত ভাগীরথী ও পদ্মা বলে পরিচিত-এ উভয়ের মধ্যবর্তী অঞ্চলে ‘গঙ্গারিডই’নামে এক শক্তিশালী রাজ্য ছিল এবং মগধের রাজা ছিলেন পাটলিপুত্রের নন্দ বংশীয় রাজা ধননন্দ। গ্রিক লেখকদের বর্ণনা অনুসারে, এ দুই জাতি একই রাজবংশের একসঙ্গে আলেকজান্ডারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেছিল। আলেকজান্ডার প্রায় ১৯ মাস ভারতে অবস্থান করেছিলেন, ফলে তার রণক্লান্ত সেনাবাহিনী দেশে প্রত্যাবর্তনে উণ্মুখ হয়ে পড়লে আলেকজাণ্ডার ভারত অভিযান বন্ধ করে গ্রিসে প্রত্যাবর্তন শুরু করেন। ভারত থেকে প্রত্যাবর্তনের কিছুদিন পর খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ অব্দে ব্যবিলনে আলেকজান্ডারের অকাল মৃত্যু হয়। আলেকজান্ডারের ভারত ত্যাগের মাত্র দুই বছর পর ভারতীয় উপমাহাদেশে মৌর্য সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতীয় উপমাহাদেশের প্রথম সাম্রাজ্যের নাম মৌর্য সাম্রাজ্য। ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে মৌর্য সাম্রাজ্যের চেয়ে বড় সাম্রাজ্য আর কখনও তৈরী হয়নি। আধুনিক মানচিত্র অনুসারে, এই সাম্রাজ্য উত্তরে হিমালয়, পূর্বে আসাম, পশ্চিমে বেলুচিস্তান এবং হিন্দুকুশ পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। চাণক্যের সাহায্যে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এই বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতের প্রথম সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ও তাঁর পুত্র বিন্দুসার দক্ষিণ ভারতে এই সাম্রাজ্য বিস্তার করেন এবং পরবর্তিতে অশোক কলিঙ্গ রাজ্য জয় করে সমগ্র দক্ষিণ ভারতে মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। মৌর্য রাজবংশ ৩২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। মগধকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য বিশ বছর বয়সে, ৩২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পাটলিপুত্র শহর অবরোধ করে নন্দ রাজবংশের রাজা ধননন্দকে উৎখাত করে এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তৎকালীন তক্ষশীলা নগরী ছিল অধুনা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত একটি প্রাচীন বিদ্যাচর্চার কেন্দ্র। তক্ষশীলার এক তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন ব্রাহ্মন পণ্ডিত চাণক্য চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে নন্দ সাম্রাজ্য ধ্বংসে এবং ভারত থেকে গ্রীক বিতরণে সাহায্য করেছিলেন। তাই পরবর্তিতে তিনি চাণক্যকে তাঁর প্রাধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। চাণক্যের বিখ্যাত ছদ্মনাম কৌটিল্য যা তিনি তাঁর বিখ্যাত সংস্কৃত গ্রন্থ ‘অর্থশাস্ত্র’এ গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রশাসন ও কূটনীতিকৌশলের সার সংক্ষেপ এই অর্থশাস্ত্র।
৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের মৃত্যুর পর, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য তার সাম্রাজ্যের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে মেসিডোনিয়ান সত্রপ বা ক্ষত্রপ রাজ্যগুলির দিকে মনোযোগ দেন। ৩০৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডারের সেনাপতি প্রথম সেলুকাস নিকাতোরের সাথে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের বিরোধ বাঁধে। যুদ্ধে পরাজিত হয়ে নিকাতোর তাকে সিন্ধু নদীর পশ্চিমে বিশাল অঞ্চল ছেড়ে দিতে এবং তার কন্যাকে তার সাথে বিয়ে দিয়ে সন্ধি করতে বাধ্য হয়। চন্দ্রগুপ্ত এরপর দক্ষিণ ভারতের দিকে অগ্রসর হন এবং কলিঙ্গ ও দাক্ষিণাত্যের অল্পকিছু অংশ বাদে সমগ্র ভারত মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন।
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময় গ্রীক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিস ভারতে আগমন করেন এবং তাঁর গ্রন্থ ইন্ডিকা প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের প্রামান্য দলীল হিসেবে পরিগন্য হয়। ২৯৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের পর, তাঁর পুত্র বিন্দুসার ২২ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন। বিন্দুসার মৌর্য সাম্রাজ্যকে আরও দক্ষিণে প্রসারিত করেন। ২৭২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বিন্দুসার মারা গেলে উত্তরাধিকারের প্রশ্নে তাঁর সন্তানদের মধ্যে পারিবারিক যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। খ্রিস্টপূর্ব ২৬৯ সালে বিন্দুসারের মৃত্যুর তিন বছর পর, অশোক তার বড় ভাই সুসিমকে হত্যা করে মৌর্য সাম্রাজ্যের সিংহাসনে আরোহণ করেন। সিংহাসনে আরোহণের পরবর্তী আট বছর, অশোক তার সাম্রাজ্য বিস্তারে মনোনিবেশ করেন। উত্তরে হিন্দুকুশ পর্বত থেকে শুরু করে দাক্ষিণাত্যের কিছু অংশ ব্যতীত সমগ্র ভারতবর্ষে তিনি সাম্রাজ্য বিস্তার করেন। রাজত্বের অষ্টম বছরে তিনি কলিঙ্গ আক্রমণ করেন। যুদ্ধে কলিঙ্গ রাজ সম্পূর্ণভাবে পরাজিত ও নিহত হন। এই ভয়াবহ কলিঙ্গ যুদ্ধে প্রায় এক লাখ মানুষ নিহত হয় এবং দেড় লাখ মানুষ নির্বাসিত হয়। এই ভয়ানক যুদ্ধের কুফল দেখে যুদ্ধবাজ সম্রাট অশোক শান্তিপ্রিয় ও সহনশীল সম্রাট এ পরিণত হন এবং বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করে বৌদ্ধ ধর্মের বড় পৃষ্ঠপোষক হয়ে ওঠেন। তাঁর শাসনামলে বৌদ্ধধর্ম রাজধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং তাঁর চেষ্টায় বৌদ্ধধর্ম বিশ্বধর্মের মর্যাদা পায়। এজন্য তাঁকে ‘বৌদ্ধধর্মের কনস্ট্যানটাইন’বলা হয়।
সম্রাট অশোক (খ্রিষ্টপূর্ব ২৭৩-২৩২ অব্দ) এর রাজত্বকালে উত্তর বাংলায় মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অঞ্চলটি মৌর্যদের একটি প্রদেশে পরিণত হয়েছিল। প্রাচীন পুন্ড্রনগর ছিল এ প্রদেশের রাজধানী।মহাস্থানগড়ে সম্রাট অশোকের একটি শিলালিপি পাওয়া গেছে।
১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে অশোকের মৃত্যুর পঞ্চাশ বছরের মধ্যে এই সাম্রাজ্যের পতন ঘটে । শেষ সম্রাট বৃহদ্রথ তার সেনাপ্রধান পুষ্যমিত্র শুঙ্গ কর্তৃক নিহত হওয়ার পর মগধে মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন ঘটে এবং শুঙ্গ রাজবংশের উত্থান ঘটে।
মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের পর পুষ্যমিত্র শুঙ্গ মগধে শুঙ্গ রাজবংশের পত্তন করেন। শুঙ্গ রাজবংশের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র। পুষ্যমিত্র শুঙ্গ ৩৬ বছর রাজত্ব করেন এবং তাঁর মৃত্যুর পর তার পুত্র অগ্নিমিত্র তার স্থলাভিষিক্ত হন। অগ্নিমিত্রের মৃত্যুর পর শুঙ্গ রাজবংশের দ্রুত পতন ঘটতে শুরু করে যদিও আরও দশজন শুঙ্গ রাজা এর পর রাজত্ব করেন। কান্ব রাজবংশের বাসুদেব কাণ্ব ৭৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মগধের শুঙ্গ রাজবংশের শেষ শাসক দেবভূতিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন ফলে ৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সুঙ্গ সাম্রাজ্যের পতনের পর কাণ্ব সাম্রাজ্যের উদ্ভব হয়।
কান্ব রাজবংশ ৭৫ খ্রিস্টপূর্ব থেক ৩০ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত ভারতের পূর্ব অংশ শাসন করেছিল। কান্ব শাসকরা শুঙ্গ রাজবংশের রাজাদের তাদের পূর্বের রাজ্যগুলিতে শাসন করার অনুমতি দিয়েছিল এবং তাঁরা মগধ শাসন করতেন। গুন্টুর জেলার অমরাবতী গ্রামে সাতবাহন সাম্রাজ্যের একজন শাসকের সাথে যুদ্ধে কান্ব রাজবংশ পরাজিত হলে এই রাজবংশের অবসান ঘটে। মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসনামলে সাতবাহন রাজবংশকে মৌর্য সাম্রাজ্যের একটি সামন্ত রাজ্য হিসাবে বিবেচনা করা হতো। মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের পর, তারা শুঙ্গ এবং কাণ্ব রাজবংশের সাথে যুদ্ধ করে ৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নিজেদের স্বাধীন রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। খ্রিস্টীয় ২২৫ অব্দ নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশে সাতবাহন শাসনের অবসান ঘটেছিল মৌর্য সম্রাজ্যের পতনের পর যে সমস্ত বৈদেশিক জাতি উত্তর ভারতে অনুপ্রবেশ করে ছিল তাদের মধ্যে কুষাণরাই প্রথম একটি বিরাট সাম্রাজ্য স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিল। চৈনিক ঐতিহাসিক সুমা-কিয়েনের মতে কুজল কদফিসেস কুষাণ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা তিনি ইউ-চি যাযাবর গোষ্ঠীকে পুনরায় ঐক্যবদ্ধ করেন ও ভারতে প্রবেশ করে কাবুল ও কাশ্মীর দখল করেন। কুষাণ সাম্রাজ্যের ব্যাপ্তিকাল খ্রিস্টীয় ১ম শতাব্দী থেকে খ্রিস্টীয় ৩য় শতাব্দী। কনিষ্ক ছিলেন কুষাণ রাজাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। কণিষ্কের আমলেই কুষাণ সাম্রাজ্য সর্বাপেক্ষা বেশি বিস্তার লাভ করে ও উত্তর ভারতের ইতিহাসে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাঁর চিকিৎসক ছিলেন চরক। চরক আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতির সর্বপ্রথম সংকলনগ্রন্থ ‘চরক সংহিতা’ রচনা করেন।
কণিষ্ক ৭৮ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন। ঐতিহাসিকদের মতে ৭৮ খ্রিস্টাব্দে “শকাব্দ” নামে যে বর্ষগণনা শুরু হয়, কণিষ্ক ছিলেন তার প্রবর্তক ।
এ সাম্রাজ্য ইউরোপের রোমান সাম্রাজ্য, চীনের হান রাজবংশ ও পূর্ব আফ্রিকার আক্সুমিত সাম্রাজ্যের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল।২২৫ খ্রিস্টাব্দে কুষাণ সাম্রাজ্যের শেষ রাজা প্রথম বাসুদেবের মৃত্যুর পর, কুষাণ সাম্রাজ্য পশ্চিম ও পূর্ব ভাগে বিভক্ত হয়। চতুর্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, বিভক্ত কুষাণদের পূর্ব ভাগ গুপ্ত সাম্রাজ্যের নেতা সমুদ্রগুপ্তের অধীনে পরাধীন ছিল।
৩২০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৫৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে, গুপ্ত সাম্রাজ্য ভারতীয় উপমহাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত হয়েছিল। গুপ্তযুগ ভারতের ইতিহাসে ‘স্বর্ণযুগ’ হিসেবে খ্যাত। এ যুগে ভারতের কলা, স্থাপত্য ও ভাস্কর্য এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছায়। এ যুগের ভাস্কর্যকে ধ্রুপদী ভাস্কর্য বলা হয়। গুপ্ত রাজারা কুষাণ রাজাদের সামন্ত হিসাবে উত্তর প্রদেশে শাসন করতেন। শ্রীগুপ্ত ২৭৫ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন। যদিও মহারাজা শ্রীগুপ্ত ধ্রুপদ সভ্যতার আদলে গুপ্ত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কিন্তু প্রথম চন্দ্রগুপ্ত (রাজত্বকাল ৩১৯-৩৩৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ভারতে গুপ্তবংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম গুপ্ত সম্রাট। তার উপাধি ছিল ‘মহারাজাধিরাজ’। প্রথম চন্দ্রগুপ্ত সমুদ্রগুপ্তকে উত্তরাধিকার নির্বাচিত করলে সমুদ্রগুপ্ত ৩৩৫ খ্রিষ্টাব্দে সিংহাসনে বসেন। সমুদ্রগুপ্ত (রাজত্বকাল ৩৩৫-৩৭৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা। তিনি শুধু গুপ্ত বংশেরই নন, ভারতীয় ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সামরিক শাসক ছিলেন সেজন্য তাঁকে ‘প্রাচীন ভারতের নেপোলিয়ন’ বলা হয়।
সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমগ্র বাংলা জয় করা হলেও সমতট একটি করদ রাজ্য ছিল। সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকাল থেকে ছয় শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত উত্তর বঙ্গ গুপ্ত সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশ হিসেবে পরিগণিত হতো। মৌর্যদের মতো বাংলায় গুপ্তদেরও রাজধানী ছিল মহাস্থানগড়ের পুণ্ড্রনগর।
সমুদ্রগুপ্তের মৃত্যুর পর দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত, (রাজত্বকাল ৩৭৫-৪১৫ খ্রিষ্টাব্দ) পাটলিপুত্রের সিংহাসনে বসেন। তিনি মালবের উজ্জয়িনীতে সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় রাজধানী স্থাপন করেন। তার উপাধি ছিল ‘বিক্রমাদিত্য’। তাঁর শাসনকালে গুপ্ত সাম্রাজ্য সর্বাধিক বিস্তৃত হয়। অনেক প্রতিভাবান ও গুণী ব্যক্তি তার দরবারে সমবেত হয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে প্রধান নয়জনকে ‘নবরত্ন’ বলা হয়। এই নবরত্নের মধ্যে ছিলেন সংস্কৃত ভায়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ও নাট্যকার মাহাকবি কালিদাস। ছিলেন সংস্কৃত কবি, ব্যাকরণিবিদ এবং প্রাচীন ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ অভিধান প্রণেতা অমরসিংহ, তাঁর প্রসিদ্ধ সংস্কৃত অভিধান ‘অমরকোষ’। ছিলেন বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ বরাহমিহির, তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘বৃহৎ সংহিতা’।
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালেই বিখ্যাত চৈনিক পর্যটক ফা-হিয়েন ভারতে আসেন।
কালিদাসের রঘুবংশ গ্রন্থ হতে জানা যায়, দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত তাঁর রাজত্বকালে একুশটি রাজ্য অধিকার করতে সক্ষম হন। দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের পর তাঁর পুত্র কুমারগুপ্ত ৪১৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৪৫৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মগধের সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং গুপ্ত সাম্রাজ্যের সীমানা অক্ষুন্ন রাখেন। গুপ্তযুগের শেষ শক্তিশালী সম্রাট ছিলেন কুমারগুপ্তের পুত্র স্কন্দগুপ্ত। তিনি ৪৫৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৪৬৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন এবং একাধিকবার হূনদের পরাজিত করে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সীমানা অক্ষুন্ন রাখেন। তবে তাঁর মৃত্যুর পর যোগ্য শাসকের অভাবে গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়।
পঞ্চম শতকে এশিয়ার দুর্ধর্ষ পাহাড়ি যাযাবর জাতি হুন ও ৬ষ্ঠ শতকে মালবের যশোবর্মণের আক্রমনের ফলে ৬ষ্ঠ শতকের প্রথমার্ধেই বিশাল গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। প্রাচীন ভারতের শেষ সর্বভারতীয় সাম্রাজ্য, গুপ্ত সম্রাজ্য়ের পতনের পর সারা উত্তর ভারতে ক্ষ্রদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য স্বাধীন রাজবংশের উদ্ভব হয় এবং সমগ্র উত্তর ভারতে রাজনৈকিত অস্থিরতা দেখা দেয়।
গুপ্তবংশের পতনের পর খ্রিষ্টীয় ৬ষ্ঠ শতকে বাংলায় দুটি স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব হয়।
২) গৌড় রাজ্য ২) গৌড় রাজ্য দক্ষিণ-পূর্ব বাংলা এবং পশ্চিম বাংলার দক্ষিনাঞ্চল জুড়ে ছিল বঙ্গ রাজ্যের এর অবস্থান। গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচারদের নামে তিন জন রাজা ‘মহারজধিরাজ’ উপাধি গ্রহণ করে স্বাধীন বঙ্গ রাজ্য শাসন করেতেন।
গুপ্ত রাজাদের অধীনে বড় কোনো অঞ্চলের শাসনকর্তাকে বলা হত ‘মহাসামন্ত’। শশাঙ্ক ছিলেন গুপ্ত রাজা মহাসেন গুপ্তের একজন মহাসামন্ত। শশাঙ্ক ৫৯৪ খ্রিষ্টাব্দে গৌড় অঞ্চল ক্ষমতা দখল করে স্বাধীন গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠিা করেন। তিনি প্রাচীন বাংলার জনপদগুলোকে গৌড় নামে একত্রিত করেন। শশাকঙ্কের উপাধি ছিল রাজাধিরাজ। তিনি ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজা। শশাঙ্ক রাজধানী স্থাপন করেন কর্ণসুবর্ণে। এটি ছিল বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলায়।
শশাঙ্ক শৈব ধর্মের উপাসক ছিলেন। হিউয়েন সাং তাকে বৌদ্ধ ধর্মের বিদ্বেষী বলে আখ্যায়িত করেছেন। ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দের কিছু আগে শশাঙ্ক মৃত্যু বরণ করেন।
উত্তর ভারতে এ সময় দুইটি শক্তিশালী রাজ্য ছিল। একটি পুষ্যভূতি রাজবংশের অধীনে থানেশ্বর এবং অন্যটি মৌখরি রাজ বংশের অধীনে কান্যকুঞ্জ (কনৌজ)। হর্ষবর্ধন ছিলেন পুষ্যভূতি বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা। হর্ষবর্ধনের সভাকবি ছিলেন বানভট্ট। বানভট্টের বিখ্যাত গ্রন্থ হচ্ছে ‘‘হর্ষচরিত’’।
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলার ইতিহাসে এক অন্ধকার যুগের সূচনা হয়। শশাঙ্কের পর দীর্ঘদিন বাংলায় কোনো যোগ্য শাসক ছিলনা। ফলে রাজ্যে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা দেখা দেয়। কেন্দ্রীয় শাসন শক্তভাবে ধরার মতো কেউ ছিলনা। একদিকে হর্ষবর্ধন ও ভাস্কর-বর্মণের হাতে গৌড় রাজ্য ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় অন্যদিকে সামন্ত রাজারা প্রত্যেকেই বাংলার রাজা হওয়ার কল্পনায় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে থাকেন। এ অরাজকতাপূর্ণ সময় (৭ম-৮ম শতকে) কে পাল তাম্র শাসনে আখ্যায়িত করা হয়েছে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলে। সন্ধ্যাকর নন্দীর ‘রামচরিতম’ কাব্যেও পাল বংশের অব্যবহিত পূর্ববর্তী সময়ের বাংলার নৈরাজ্যকর এ অবস্থাকে মাৎস্যন্যায় বলে উল্লেখ করা হয়। পুকুরের বড় মাছ ছোট মাছকে ধরে গিলে ফেলার মতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে বলা হয় মাৎস্যন্যায়। বাংলার সবল অধিপতিরা এমন করে ছোট অঞ্চলগুলোকে গ্রাস করেছিল। এ অরাজকতার যুগ চলে একশ বছরব্যাপী। অষ্টম শতকের মাঝামাঝি এ অরাজকতার অসবসান ঘটে পাল রাজত্বের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
বাঙ্গালী জাতির উৎপত্তি ও প্রাচীন বাংলার জনপদ সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
১. প্রাচীন বাংলা মৌর্য শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কে? (৪০তম বিসিএস)
(ক) অশোক মৌর্য (খ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য (গ) সমুদ্র গুপ্ত (ঘ) এর কোনটিই না
উত্তরঃ (খ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
২. অবিভক্ত বাংলার সর্বপ্রথম রাজা কাকে বলা হয়? (৪১তম বিসিএস/ সিজিএ -এর অডিটর:২২)
(ক) অশোক (খ) শশাঙ্ক (গ) মেগদা (ঘ) ধর্মপাল
উত্তরঃ (খ) শশাঙ্ক
৩. মাৎস্যন্যায় বাংলার কোন সময়কাল নির্দেশ করে? (৪১তম বিসিএস/ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) (ক) ৫ম-৬ষ্ঠ শতক (খ) ৬ষ্ঠ-৭ম শতক (গ) ৭ম-৮ম শতক (ঘ) ৮ম-৯ম শতক
উত্তরঃ (গ) ৭ম-৮ম শতক
১. কোন যুদ্ধের পরিণাম প্রত্যক্ষ করে মহারাজ অশোক বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন? (বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগে সহকারী পরিচালক) (ক) হিদাস্পিসের যুদ্ধ (খ) কলিঙ্গের যুদ্ধ (গ) মেবারের যুদ্ধে (ঘ) পানিপথের যুদ্ধে
উত্তরঃ (খ) কলিঙ্গের যুদ্ধ
২. ‘মেঘদূত কাব্য’ কার লেখা? (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক) (ক) মহাকবি কলিদাস (খ) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (গ) ছন্দের কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (ঘ) পল্লিকবি জসীমউদ্দীন
উত্তরঃ (ক) মহাকবি কলিদাস ৩. বঙ্গ ও গৌড় দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে কত শতকে? (সব-রেজিস্ট্রার /ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) (ক) ষষ্ঠ (খ) অষ্টম (গ) দশম (ঘ) একাদশ
উত্তরঃ (ক) ষষ্ঠ ৪. বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজ (নরপতি) হলেন-(প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক) (ক) ধর্মপাল (খ) গোপাল (গ) শশাঙ্ক (ঘ) দ্বিতীয় চন্দ্র গুপ্ত
উত্তরঃ (খ) গোপাল
৫. বাংলার প্রাচীন নগর কর্ণসুবর্ণ –এর অবস্থান ছিল- (CAAB এর নিরাপত্তা অধিক্ষক /ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) (ক) কুমিল্লায় (খ) মুর্শিদাবাদে (গ) বগুড়ায় (ঘ) রাজশাহীতে
উত্তরঃ (খ) মুর্শিদাবাদে ৬. মাৎস্যন্যায় কোন শাসন আমলে দেখা যায়? (প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক) (ক) খলজি শাসন আমলে (খ) সেন শাসন আমলে (গ) মুগল শাসন আমলে (ঘ) পাল তাম্র শাসন আমলে
উত্তরঃ (ঘ) পাল তাম্র শাসন আমলে ৭. তক্ষশিলা কোন দেশে অবস্থিত? (প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক) ক. নেপালে খ. ভারতে গ. পাকিস্তানে ঘ. চীনে
উত্তরঃ গ. পাকিস্তানে ৮. কোন সম্রাটের আমলে এদেশে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ঘটে? (স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী) ক. দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত খ. সম্রাট অশোক গ. সমুদ্রগুপ্ত ঘ. ধর্মপাল
উত্তরঃ খ. সম্রাট অশোক ৯. আমরকোষ কি জাতীয় গ্রন্থ? (জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সহকারী পরিচালক) ক. মহাকাব্য খ. নাটক গ. অভিধান ঘ. উপন্যাস
উত্তরঃ গ. অভিধান ১০. প্রাচীন বাংলা কতটি রাজ্য ছিল? (মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক) ক. ২টি খ. ৩টি গ. ৪টি ঘ. ৫টি
উত্তরঃ ক. ২টি ১১. প্রাচীনকালে এদেশের নাম ছিল- (সাব-রেজিস্ট্রার) ক. বাংলাদেশ খ. বঙ্গ গ. বাংলা ঘ. বাঙ্গালা
উত্তরঃ খ. বঙ্গ ১২. মহারাজধিরাজ পদবী কারা গ্রহণ করেন? (প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক) ক. আকবর, হুমায়ূন ও জাহাঙ্গীর খ. ইলিয়াস শাহ, তুগলক ও জালালউদ্দিন
গ. ধর্মপাল ও গোপাল ঘ. গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচারদেব
উত্তরঃ ঘ. গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচারদেব ১৩. প্রাচীন জনপদগুলোকে একত্রিত করে গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন কে? (ত্রয়োদশ শিক্ষক নিবন্ধন) ক. ধর্মপাল খ. লক্ষ্ণণ সেন গ. শশাঙ্ক ঘ. ইলিয়াস শাহ
উত্তরঃ গ. শশাঙ্ক ১৪. কে গৌড়ের স্বাধীন নরপতি ছিলেন? (প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক) ক. শশাঙ্ক খ. বর্মন গ. ভাস্কর ঘ. দেবগুপ্ত উত্তরঃ ক. শশাঙ্ক
১. ভারতীয় উপমাহদেশে প্রথম সাম্রাজ্যের নাম-(বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়) (ক) গুপ্ত সাম্রাজ্য (খ) চন্দ্র সাম্রাজ্য (গ) মৌর্য সাম্রাজ্য (ঘ) কৃষাণ সাম্রাজ্য উত্তরঃ (গ) মৌর্য সাম্রাজ্য
২. পাটালিপুত্র রাজধানী ছিল-(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) (ক) গুপ্তদের (খ) সেনদের (গ) পালদের (ঘ) মৌর্যদের
উত্তরঃ (ঘ) মৌর্যদের ৩. চাণক্য ছিলেন প্রাচীন ভারতে একজন বিখ্যাত-(কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়) (ক) কৃষিবিদ (খ) অথীনীতিবিদ (গ) কুটনীতিক (ঘ) রাজা
উত্তরঃ (খ) অথীনীতিবিদ, (গ) কুটনীতিক ৪. গুপ্তোত্তর বঙ্গের স্বাধীন রাজা ছিলেন-(জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) (ক) গোপচন্দ্র (খ) শশাঙ্ক (গ) শ্রীচন্দ্র (ঘ) লড়হচন্দ্র
উত্তরঃ (ক) গোপচন্দ্র
৫. চাণক্য কার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন? (চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) ক. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য খ. প্রথম চন্দ্রগুপ্ত গ. দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ঘ. সমুদ্রগুপ্ত
উত্তরঃ ক. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ৬. কৌটিল্য কার নাম? (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) ক. প্রাচীন রাজনীতিবিদ খ. প্রাচীন অর্থশাস্ত্রবিদ গ. পণ্ডিত ঘ. রাজ কবি
উত্তরঃ খ. প্রাচীন অর্থশাস্ত্রবিদ ৭. অর্থশাস্ত্র এর রচয়িতা কে? (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়)
ক. হলায়ুধ খ. কৌটিল্য গ. পাণিনি ঘ. বৌধায়ন উত্তরঃ খ. কৌটিল্য ৮. অশোক কোন বংশের সম্রাট ছিলেন? (বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়)
ক. মৌর্য খ. গুপ্ত গ. পুষ্যভূতি ঘ. কুশান উত্তরঃ ক. মৌর্য
৯. বৌদ্ধ ধর্মের কনস্ট্যানটাইন কাকে বলা হয়? (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়)
ক. অশোক খ. চন্দ্রগুপ্ত গ. মহবীর ঘ. গৌতম বুদ্ধ
উত্তরঃ ক. অশোক ১০. রাজ ‘কনিষ্ক’ কোন বংশের শাসক? (চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) ক. গুপ্ত খ. মৌর্য গ. কুষাণ ঘ. দেব
উত্তরঃ গ. কুষাণ ১১. ভারতবর্ষের কোন যুগের ভাস্কর্যকে ধ্রুপদী ভাস্কর্য বলা হয়? (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ক. মৌর্য যুগের খ. গুপ্ত যুগের গ. পাল যুগের ঘ. সুঙ্গ যুগের
উত্তরঃ খ. গুপ্ত যুগের ১২. কোনটি প্রাচীন নগরী নয়? (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) ক. কর্ণসুবর্ণ খ. উজ্জয়িনী গ. বিশাখাপট্টম ঘ. পাটলিপুত্র
উত্তরঃ গ. বিশাখাপট্টম ১৩. ভারতের নেপোলিয়ন কাকে বলা হয়? (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) ক. কণিঙ্ক খ. অশোক গ. সমুদ্রগুপ্ত ঘ. হর্ষবর্ধন
উত্তরঃ গ. সমুদ্রগুপ্ত ১৪. মহাকবি কালিদাস যে যুগের কবি ছিলেন? (বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়) ক. পাল খ. সেন গ. মৌর্য ঘ. গুপ্ত
উত্তরঃ ঘ. গুপ্ত ১৫. কালিদাস কোন ভাষার কবি ছিলেন? (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) ক. পালি খ. হিন্দি গ. সংস্কৃত ঘ. বাংলা
উত্তরঃ গ. সংস্কৃত ১৬. চরক ছিলেন-(রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) (ক) গণিতবিদ (খ) জ্যোতির্বিদ (গ) চিকিৎসাবিদ (ঘ) আয়ুর্বেদশাস্ত্র বিশারদ
উত্তরঃ (ঘ) আয়ুর্বেদশাস্ত্র বিশারদ ১৭. কোন যুগ প্রাচীন ভারতের স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত? (ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) (ক) মৌর্যযুগ (খ) শুঙ্গযুগ (গ) কুষাণযুগ (ঘ) গুপ্ত যুগ
উত্তরঃ (ঘ) গুপ্ত যুগ ১৮. প্রাচীন ভারতের কোন শাসকের অপর নাম বিক্রমাদিত্য ছিল? (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) (ক) দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত (খ) অশোক (গ) সমুদ্রগুপ্ত (ঘ) হর্ষবর্ধন
উত্তরঃ (ক) দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ১৯. ধারণা করা হয়, প্রাচীন গৌড় জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল- (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) ক. মুর্শিদাবাদ খ. যশোর গ. ময়মনসিংহ ঘ. চট্রগ্রাম
উত্তরঃ ক. মুর্শিদাবাদ ২০. ‘মহাসামন্ত’ কার উপাধি ছিল? (বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়) ক. গোপাল খ. লক্ষ্ণণ সেন গ. হর্ষবর্ধন ঘ. শশাঙ্ক
উত্তরঃ ঘ. শশাঙ্ক ২১. কালিদাসের একটি নাটক– (জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়) ক. মালতিমাধব খ. মালবিকাগ্নিমিত্র গ. মধুমালতি ঘ. মৃচ্ছকটিক
উত্তরঃ খ. মালবিকাগ্নিমিত্র ২২. প্রাচীন গৌড়ের রাজধানী ছিল- (খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়) ক. পুন্ড্রনগর খ. কনৌজ গ. কর্ণাটক ঘ. কর্ণসুবর্ণ
উত্তরঃ ঘ. কর্ণসুবর্ণ ২৩. শশাঙ্কের রাজধানী ছিল- (চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়) ক. কর্ণসুবর্ণ খ. গৌড় গ. নদীয়া ঘ. ঢাকা
উত্তরঃ ক. কর্ণসুবর্ণ ২৪. শশাঙ্ক প্রথম জীবনে ছিলেন-(জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) ক. কৃষক খ. সামন্ত গ. রাজা ঘ. সম্রাট
উ্ত্তরঃ খ. সামন্ত ২৫. হর্ষবর্ধনের সভাকবি- (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) ক. কালিদাস খ. বানভট্ট গ. মেগাস্থিনিস ঘ. সন্ধ্যাকর নন্দী
উত্তরঃ খ. বানভট্ট ২৬. ‘হর্ষচরিত’ গ্রন্থটি রচনা করেন- (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) ক. হর্ষবর্ধন খ. কলহন গ. বানভট্ট ঘ. কৌটিল্য
উত্তরঃ গ. বানভট্ট ২৭. মাৎসান্যায় ধারনাটি কিসের সাথে সম্পর্কিত? (বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়) ক. মাছবাজার খ. ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা গ. মাছ ধরার নৌকা ঘ. আইন-শৃঙ্খলাহীন অরাজক অবস্থা
উত্তরঃ ঘ. আইন-শৃঙ্খলাহীন অরাজক অবস্থা ২৮. মাৎস্যন্যায় নির্দেশ করে- (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) ক. মৎস্যময় বাংলাদেশ খ. রাজনৈতিক পরিস্থিতি গ. মৎস্যময় ভারত ঘ. প্রাকৃতিক পরিস্থিতি
উত্তরঃ খ. রাজনৈতিক পরিস্থিতি ২৯. মাৎসন্যায় নির্দেশ করে- (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) ক. আলেকজান্ডারের আগমন খ. বখতিয়ারের আগমন গ. রামপালের আগমন ঘ. গোপালের আগমন
উত্তরঃ ঘ. গোপালের আগমন ৩০. মাৎস্যন্যায় সম্পর্কে জানার উৎস- (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) ক. তারনাথের বিবরণ খ. সন্ধ্যাকর নন্দীর বিবরণ গ. হর্ষচরিত ঘ. আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প
উত্তরঃ খ. সন্ধ্যাকর নন্দীর বিবরণ ৩১. পরিব্রাজক কে? (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) ক. পর্যটক খ. পরিদর্শক গ. পরিচালক ঘ. কোনোটাই নয়
উত্তরঃ ক. পর্যটক ৩২. মেগাস্থিনিস ছিলেন একজন- (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়) ক. শাসক খ. অর্থনীতিবিদ গ. জাদুকর ঘ. রাষ্ট্রদূত
উত্তরঃ ঘ. রাষ্ট্রদূত ৩৩. মেগাস্থিনিস কার রাজসভার গ্রিক দূত ছিলেন? (বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়) ক. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য খ. অশোক গ. ধর্মপাল ঘ. সমুদ্রগুপ্ত
উত্তরঃ ক. চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ৩৪. মেগাস্থিনিস তার কোন গ্রন্থে ভারতীয় উপমহাদেশ সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য লিপিবদ্ধ করেন? (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) ক. ইন্ডিয়া খ. ইন্ডিকা গ. ইন্ডিয়ানা ঘ. ইন্ডাস
উত্তরঃ খ. ইন্ডিকা
মৌর্য সাম্রাজ্য
শুঙ্গ রাজবংশ, কাণ্ব রাজবংশ ও সাতবাহন রাজবংশ
কুষাণ সাম্রাজ্য
গুপ্ত সাম্রাজ্য
গুপ্ত-পরবর্তী বাংলা
১) বঙ্গ রাজ্যঃ
২) গৌড় রাজ্যঃ
মাৎস্যন্যায়
বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা প্রশ্নসমূহ
বিসিএস পরীক্ষায় আসা প্রশ্নসমূহ
পিএসসি এর বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা প্রশ্নসমূহ
ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন সমূহ